![]() |
ব্লগিং এর আগে যা জানতে হবে! |
হ্যালো বন্ধুরা! Creator Academy (Bengali) এর নতুন একটি ব্লগে আপনাদের স্বাগতম।
অনেকেই ব্লগিং করতে চান কিন্তু ব্লগিং করার শুরুতে আপনাদের যা জানতে হবে তা হল কোন বিষয়ে ব্লগিং আপনি করতে পারেন।
অর্থাৎ কোন বিষয়ে ব্লগিং করলে বেশি পরিমানে ভিজিটর পাওয়া যাবে? এই প্রশ্নটা জানার আগ্রহ অনেক মানুষের থাকে কিন্তু কেউই সঠিক উত্তর গুগোল অথবা ইউটিউব এ খুঁজে পান না।
এই বিষয়ে কিছু কথাবার্তা বলার জন্য আজকের ব্লকটি লেখা।
তাই দয়া করে নিচের সমস্ত লেখা মনোযোগ সহকারে পড়ুন।।।
প্রথমেই বলি কোন বিষয়ে আপনি ব্লগিং করলে ভালো একটা পর্যায়ে যেতে পারবেন।
১. আপনি যে বিষয়ে ভাল জানেন। প্রতিটি মানুষ কোন না কোন বিষয়ে পারদর্শী হয়ে থাকে। কেউ গল্প লিখতে পারে কেউ কবিতা লিখতে পারে আবার কেউ টেকনোলজি প্রযুক্তি এই ধরনের বিভিন্ন লেখালেখি করতে পারে।
তাই আপনি যে বিষয়টা সম্বন্ধে ভাল জানেন, যে বিষয়টা আপনার ভালো লাগে আপনি সেই বিষয় নিয়ে লেখালেখি করুন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ভালো একটা রেজাল্ট পাবেন।
২. সব সময় চেষ্টা করবেন দীর্ঘস্থায়ী কোন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করার জন্য। সবসময় হুজুগের উপর লেখালেখি করবেন না।
হ্যাঁ, ব্লগে ভিজিটর লাভের আশায় অবশ্যই আপনার হুজুরের উপর নির্ভর করতে হবে মাঝে মাঝে।
কিন্তু আপনি যদি আপনার সম্পূর্ণ ব্লক তাই হুজুগের উপর নির্ভরশীল হন তাহলে একটা সময় আপনি নিজে থেকে কোন কিছুই লিখতে পারবেন না।
তাই চেষ্টা করবেন এমন কিছু লেখার যে বিষয়টা আপনি সারাজীবন লিখে যেতে পারবেন।
তবে মাঝেমাঝে তার ভিতরে কিছু হুজুগে টপিক নিয়ে আসবেন কারণ সে ক্ষেত্রে আপনি ভাল মানের একটা ভিজিটর পেতে পারেন।
৩. অন্যের উপকারী কোন বিষয় নিয়ে ব্লগিং করুন বা আপনার ব্লগে লেখালেখি করুন। একটা জিনিস মাথায় রাখবেন মানুষ তখনই আপনার ব্লগে আসবে তখনই আপনার ব্লগ সাইটে বারবার ভিজিট করবে যখন আপনার ব্লগ সাইট থেকে সে কিছু শিখতে পারবে, তার কোনো উপকারে আপনার ব্লগের লেখাগুলো কাজে আসবে।
তাই সব সময় অন্যের উপকারী কোন বিষয়বস্তু নিয়ে লেখালেখি করার চেষ্টা করুন সেক্ষেত্রে আপনি পার্মানেন্ট কিছু ভিজিটর পাবেন।
তবুও হয়তো অনেক মানুষ এখনও বিষয়টা ভালোমতো বুঝতে পারেননি। সব কথা শেষে একটা কথা কিন্তু থেকেই গেল
“কোন ধরণের ব্লগ তৈরী করলে ভাল মানের একটা ইনকাম পাবেন?”
এই জিনিসটা ক্লিয়ার করার জন্য আমরা বিশ্বের বড় বড় কিছু ব্লগিং সাইটের দিকে নজর দিতে পারি।
নিচে কিছু জনপ্রিয় সাইট সম্বন্ধে আলোচনা করা হল আশা করি আপনারা মন দিয়ে বিষয়টা পড়বেন।।
১. তথ্য বিষয়ক ব্লগ
আপনি জেনে অবাক হয়ে যাবেন তথ্যবিষয়ক ব্লগ এর চাহিদা অনলাইন জগতে অনেক বেশি।
আপনি নিজেকে দিয়েই চিন্তা করুন, আপনি অনলাইনে কখন সার্চ করেন?
যখন আপনার কোন ধরনের তথ্য জানার প্রয়োজন হয় তখনই আপনি অনলাইনে সেই বিষয়ে সার্চ করেন এবং আপনি আপনার মূল্যবান তথ্য পেয়ে উপকৃত হন।
তাই তথ্য বিষয়ক ব্লগ এর চাহিদা অনলাইন জগতে অনেক বেশি।
কোন ডিভাইস কিভাবে কাজ করে, কি দেখে কোন ডিভাইস কিনতে হয়, কোথা থেকে ডিভাইস টি কিনলে সহজে এবং কম দামে কেনা যাবে থেকে শুরু করে কিভাবে কোনটা রান্না করতে হয় এই সবই আপনার ব্লগের বিষয়বস্তু হতে পারে।
এভাবে তথ্য জমা হতে হতে একসময় আপনার ব্লগটি এনসাইক্লোপিডিয়ায় পরিণত হয়ে যেতে পারে। আর এই সমস্ত বিষয়বস্তু জানার জন্য অনলাইন থেকে হিউজ পরিমান ট্রাফিক আপনার ব্লগে চলে আসতে পারে।
তাই আপনি তথ্য বিষয়ক ব্লগ নিয়ে কাজ করতে পারেন।
২. তথ্য বিষয়ক ভিডিও ব্লগ
অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের তথ্য লিখে প্রকাশ করা যায় না। সেগুলোর জন্য প্রয়োজন হয় প্র্যাকটিক্যাল কিছু ভিডিও।
তাই আপনি আপনার ব্লগে ভিডিও তৈরি করতে পারেন।
যেমন ধরুন- টাই কিভাবে বাধতে হয় থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় যে কোন বিষয়বস্তু সম্বন্ধে ভিডিও তৈরি করে সেগুলো আপনি আপনার ব্লগে উপস্থাপন করতে পারেন।
এক সময় যখন আপনার তৈরি করা ভিডিও গুলো মানুষের উপকারে আসবে তখন আপনার কিছু পার্মানেন্ট ভিজিটর তৈরি হয়ে যাবে।যারা ডেইলি আপনার ব্লগে ভিজিট করবে এবং নতুন নতুন সব ভিডিও দেখে অনেক কিছু জানতে পারবে।
৩. টিউটরিয়াল ব্লগ
অনলাইন জগতের টিউটোরিয়াল ব্লগ অথবা টিউটোরিয়াল ভিডিওর চাহিদা কোন অংশে কম নয়।
কোন সফটওয়্যার কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স, ওয়েব ডিজাইন বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়বস্তু নিয়ে টিউটোরিয়াল আর্টিকেল আপনি আপনার ব্লগে পোস্ট করতে পারেন।
৪. বিষয় ভিত্তিক ব্লগ
ইতিহাস, পদার্থ ও রসায়নবিদ্যা ইত্যাদি নানা ধরনের জ্ঞানভিত্তিক বিষয়বস্তু নিয়ে আপনি আপনার ব্লগে লেখালেখি করতে পারেন।
উদাহরণ হিসেবে আপনি উইকিপিডিয়াকে নজর দিতে পারেন। উইকিপিডিয়া বিশ্বের সবথেকে বড় জ্ঞানকোষ যেখানে এমন কোনো বিষয়বস্তু নেই যা নিয়ে লেখা লেখি নেই।
এবং এই সাইটের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে কেউ এই সাইটের যেকোন তথ্য যোগ করতে পারে, এবং এর ফলে উইকিপিডিয়ার জ্ঞান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৫. প্রযুক্তি বিষয়ক ব্লগ
বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তির বিশ্ব। দিন দিন নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন হচ্ছে এবং এই প্রযুক্তি গুলো নিয়ে বিভিন্ন ব্লগে ইউটিউবে ডেইলি বিভিন্ন ধরনের ভিডিও লেখালেখি চলছে।
আপনিও চাইলে প্রযুক্তি নিয়ে লেখালেখি করতে পারেন। নতুন কোন প্রযুক্তি উদ্ভাবন হলো, কোন প্রযুক্তি কিভাবে কাজ করে, নতুন প্রযুক্তির খবর, যে কোন প্রযুক্তি বিষয়ক ব্যাখ্যা - উদাহরণ এগুলো আপনার ব্লগের বিষয়বস্তু হতে পারে।
৬. রিভিউ বিষয়ক ব্লগ
এতক্ষণ যে বিষয়বস্তু গুলো নিয়ে কথা বললাম সেগুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি ডিমান্ড এবং সবথেকে বেশি ট্রাফিক রয়েছে রিভিউ বিষয়ক ব্লগে।
মানুষ নতুন কোন প্রোডাক্ট কেনার আগে সেই প্রোডাক্ট সম্বন্ধে খুব ভালোভাবে জেনে নিতে চায়।
সেই প্রোডাক্টের ভালো দিক - খারাপ দিক, মানুষ এই প্রোডাক্টটি নিয়ে খুশি কিনা এই ধরনের না না বিষয়বস্তু বিবেচনা করে মানুষ সেই প্রোডাক্টটি কিনতে আগ্রহী হয়।
হয়তো আপনিও কোন প্রোডাক্ট কেনার আগে সেই প্রোডাক্ট সম্বন্ধে গুগলে ভালোভাবে সার্চ করে নেন।
এই বিষয়টাই হতে পারে আপনার ব্লগের মূল লেখালিখির সাবজেক্ট।
তাই আপনি যদি প্রোডাক্টের রিভিউ লিখতে আগ্রহী হন তাহলে এখনি একটি রিভিউ ভিত্তিক ব্লগ তৈরি করে ফেলুন এবং সেখানে লেখালেখি করুন।
উপরের আলোচনা থেকে হয়তো আপনাদের বুঝাতে পেরেছি কোন ধরনের ব্লগ নিয়ে আপনি কাজ করতে পারেন এবং অনেক ধরনের ব্লগ সাইটের ট্রাফিক সোর্স নিয়ে আলোচনা করেছি।
হয়তো আপনি বিষয়বস্তুগুলো জানার পর ব্লগিংয়ে আগ্রহী, তাই এখনই ব্লগিং শুরু করে দিন এবং আপনার নিজের একটি পার্টটাইম প্রফেশন হিসেবে ব্লগিংকে নির্বাচন করুন।
মনে রাখবেন, ব্লগিং শুরু করার সাথে সাথেই ইনকামের চিন্তা করবেন না।
একটা ব্লগ সাইট কে ইনকাম সোর্স হিসেবে নিয়ে যেতে লেগে যেতে পারে কয়েক মাস অথবা বছর। তাই মন দিয়ে ব্লগিং করুন একসময় ইনকাম আপনার হবেই।।
1 মন্তব্যসমূহ
Your Affiliate Money Printing Machine is waiting -
উত্তরমুছুনPlus, getting it running is as simple as 1--2--3!
This is how it works...
STEP 1. Tell the system what affiliate products the system will advertise
STEP 2. Add PUSH BUTTON traffic (this LITERALLY takes 2 minutes)
STEP 3. Watch the affiliate system explode your list and upsell your affiliate products all for you!
Do you want to start making money?
Check it out here